ঢাকা বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ইসলামে সফর মাসের আমল ও তাৎপর্য

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম

ইসলামে সফর মাসের আমল ও তাৎপর্য

ছবি: সংগৃহীত

সফর (صفر) আরবি শব্দ। চান্দ্র বর্ষের দ্বিতীয় মাস হলো সফর। সফর অর্থ খালি, শূন্য। মহররম মাসে যুদ্ধ বন্ধ থাকায় আরবরা এ মাসে দলে দলে যুদ্ধে যেত। ফলে তাদের ঘর খালি হয়ে যেত। আর আরবিতে ‘সফরুল মাকান’ বলতে এমন জায়গা বুঝায় যা মানুষ শূন্য। এজন্য এ মাসের নামকরণ করা হয় ‘সফর’।

নবুয়তের আগে আরবে সফর মাস ঘিরে নানা কুসংস্কার প্রচলিত ছিল এবং এ মাসকে অশুভ মনে করা হতো। অথচ আল্লাহ তাআলার সৃষ্ট প্রতিটি দিন ও মাসই অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। কোনো সময় বা মাসের সঙ্গে মঙ্গল অমঙ্গলের সম্পর্ক নেই। ইসলামি বিশ্বাস মতে, কল্যাণ-অকল্যাণ নির্ভর করে মানুষের বিশ্বাস ও কর্মের ওপর।

 এ বিষয়ে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রোগে সংক্রমিত হওয়া বলতে কিছুই নেই, কোনো কিছু অশুভ নয়। প্যাঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই এবং সফর মাসেও কোনো অশুভ কিছু নেই...’। (বুখারি ৫৭৬৯)

হাঁচি দেয়ার সময় ‘আলহামদুলিল্লাহ’বলার নিয়ম

সর্বোপরি ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নতে মুয়াক্কাদা যথাযথ পালন করার সঙ্গে সঙ্গে নফল দান সদকার প্রতি মনোযোগী হওয়া এবং নতুন মাসের চাঁদ দেখে দোয়া পাঠ করা।

জিহ্বার মাধ্যমে মারাত্মক যে ৫ গুনাহ হয়ে থাকে

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা বলল, তোমাদের কর্ম দোষের দুর্ভাগ্য তোমাদের সঙ্গেই আছে’। (সুরা ইয়াসিন ১৯) অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক ব্যক্তির কল্যাণ ও অকল্যাণের পরোয়ানা আমি তার গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছি’। (সুরা বনি ইসরাইল ১৩)

অতএব কোনো বিশেষ সময়ের সঙ্গে অমঙ্গল বা অকল্যাণের সম্পর্ক নেই। তাই আল্লাহ তাআলার রহমত ও বরকত পেতে হলে এ মাসেও বেশি বেশি ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত ইবাদতের পাশাপাশি নফল ইবাদতে মশগুল থাকা উচিত।

তাই সবার উচিত আল্লাহ তাআলার ওপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে নেক আমল করা। আর প্রতি চন্দ্রমাসে নির্দিষ্ট কিছু আমল থাকে। সে আমলগুলো সফর মাসে করা যেতে পারে। যেমন ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বিজের ৩টি রোজার প্রতি যত্নশীল হওয়া।

প্রতি মাসে ৩টি রোজা পালনের কথা হাদিসে এসেছে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি মাসে ৩টি করে সিয়াম পালন, সারা বছর ধরে সিয়াম পালনের সমান’। (বুখারি: ১১৫৯, ১৯৭৫)

এছাড়া প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার অভ্যাস করা। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ২ দিন বিশেষ রোজা রাখতেন। এ বিষয়ে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘বৃহস্পতি ও সোমবার আল্লাহ তাআলার সামনে বান্দার আমল উপস্থাপন করা হয়, তাই আমি চাই- আমার আমল পেশ করার সময় আমি যেন রোজা অবস্থায় থাকি’। (সুনানে নাসায়ি ২৩৫৮)

আরবি/জেআই

Link copied!